নাম্বার ওয়ান হিরো
ডিটেকটিভ বিনোদন ডেস্ক
একজন নায়ক তার প্রচেষ্টায় সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিকে টিকিয়ে রেখেছেন বছরের পর বছর ধরে এমন নজির খুব বেশি নেই। অথচ শাকিব খান এই কাজটা প্রায় এক দশক ধরে করছেন। এখনো বাংলাদেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির সাফল্য-ব্যর্থতা অনেকাংশে নির্ভর করে তার ওপর। গত এক যুগ ধরেই তিনি ঢালিউডের ‘হিরো নাম্বার ওয়ান’। পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান ১৯৯৯ সালে নিয়ে এলেন মাসুদ রানা নামক একটি ছেলেকে। নারায়ণগঞ্জের মাসুদ রানা তখন নাম বদলে শাকিব খান হয়ে যান। প্রায় একইসঙ্গে দুটো সিনেমার শুটিং শুরু করেছিলেন শাকিব। সোহানুর রহমান সোহানের ‘অনন্ত ভালোবাসা’, আর আফতাব খান টুলুর ‘সবাই তো সুখী হতে চায়’।
‘অনন্ত ভালোবাসা’ মুক্তি পেয়েছিল সে বছরের মে মাসে। ছবিটা ব্যবসায়িকভাবে খুব সফল ছিল না। তবে দর্শকের মনে ছোট্ট একটা জায়গা করে নেন শাকিব। সেটাই শুরু। এরপরের গল্প শুধুই সাফল্যের। ক্যারিয়ারের প্রায় ২০টা বছর পার করেছেন শাকিব খান। বাংলাদেশি সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির হাল ধরেছেন শক্ত হাতে। একটা সময়ে আমাদের দেশে ১০০০-১২০০ সিনেমা হল ছিল। এখন আড়াইশ’ও নেই। এই হলগুলোর মধ্যে অন্তত অর্ধেকের টিকে থাকার পেছনে গত ১০ বছরে শাকিবের একটা বড় অবদান আছে। সেটা কেউ স্বীকার করুক আর নাইবা করুক। শাকিব এখন শুধু এদেশেই নন, ভারতেও বেশ জনপ্রিয়। বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনার ছবিতে একের পর এক সাফল্য অর্জন করেছেন তিনি। বাংলাদেশের পাশাপাশি কলকাতায়ও শক্ত অবস্থান এখন শাকিবের।